প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হয়েছে। গঠন করা হচ্ছে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা। এখন বাস্তবায়ন করতে যেটুকু সময় লাগে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, পরবর্তী পরিচালনা পরিষদের সভার আগেই এর রূপরেখা সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।'
-দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ: আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাকে পুরোপুরি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হচ্ছে না। বিসিবির নিয়ন্ত্রণ থাকবে। পরিচালক শফিউল আলম নাদেল জানান, প্রতি সংস্থায় বিসিবি থেকে একজন করে অর্থ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। অর্থ কীভাবে, কোন খাতে খরচ হবে সেটা দেখবেন অর্থ কর্মকর্তা।
-গঠনতন্ত্র প্রণয়ন: প্রতিটি আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার গঠনতন্ত্র থাকবে। যেটা তৈরি করে দেবে বিসিবি। তবে নির্বাচিত কমিটি পরে বিসিবির দিকনির্দেশনা মেনে গঠনতন্ত্র উন্নত করতে পারবে। জেলার কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হবেন সংশ্নিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। গঠনতন্ত্রে সাবেক ক্রিকেটারদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিসিবির একজন পরিচালক।
-আর্থিক সক্ষমতা: জেলা এবং বিভাগীয় ক্রিকেট সংস্থাকে বর্তমানে লিগ আয়োজন সাপেক্ষে বছরে ২ লাখ টাকা করে অনুদান দেয় বিসিবি। আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা বাস্তবায়ন করার পর নির্দিষ্ট বাজেট অনুমোদন করা হবে।
গঠন করা হচ্ছে 'আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা': আর্থিক সক্ষমতা কেমন, নিয়ন্ত্রণ কার?
'বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম নাদেলের মতে, 'এতদিন জেলাগুলোকে অনুদান পেতে হলে বিসিবিতে যোগাযোগ করতে হতো। এখন দেখবে আঞ্চলিক সংস্থা। নিয়মিত সাদা ও লাল বলের লিগ আয়োজন করতে হবে। তহবিল গড়ে তুলতে নিজস্বভাবে স্পন্সর জোগাড় করতে হবে।'
-অবকাঠামোগত উন্নয়ন: আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গড়ে তোলা হলেও জাতীয় পর্যায়ের খেলা চালানোর মতো সুযোগ-সুবিধা নেই বেশিরভাগ বিভাগের। তবে ঢাকার বাইরে কোনো বিভাগেই একাডেমি নেই। প্রতি বিভাগে ইনডোর সুবিধা নেই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে একাডেমি এবং ইনডোর সুবিধা গড়ে তুলতে হবে বিসিবিকেই।